পাত্রসায়রে বহিস্কৃত ছাত্রের বাড়িতে বিশ্বভারতীর অধ‍্যাপকরা

1st February 2020 বাঁকুড়া
পাত্রসায়রে বহিস্কৃত ছাত্রের বাড়িতে বিশ্বভারতীর অধ‍্যাপকরা


বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। ভারতীয় সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি । গত রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের পর বিশ্বভারতীর উপাচার্য দাবি করেন, ভারতের সংবিধান ২৯৩ জনের সংখ্যালঘু ভোটে তৈরি হয়েছিল। আজ দেশের কাছে ‘বেদ’ হয়ে গেছে সংবিধান। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি উপাচার্য, বলেন, প্রয়োজনে সংবিধান বদলানো উচিত। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ কুমার চক্রবর্ত্তীর এই বক্তব্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর 'অপরাধে' পূর্ব পল্লীর এক হোষ্টেল থেকে বহিস্কৃত ছাত্রের বাড়িতে এলেন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি দল। শনিবার বিশ্বভারতীর বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র বিজ্জু সরকার নামে ঐ ছাত্রের বাড়ি বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের টাসুলী গ্রামে আসেন। কথা বলেন ঐ ছাত্র ও তার পরিবারের সঙ্গে। এমনকি শান্তিনিকেতনে থেকে পড়াশুনার যাবতীয় খরচ চালানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশের পর একেবারে প্রান্তিক পরিবার থেকে উঠে আসা বিজ্জু সরকার প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। এদিনও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাজারো অনুরোধেও ঐ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি সে।  বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগে হোষ্টেল থেকে বহিস্কৃত ঐ ছাত্রের পাশে ওখানকার ছাত্র সংগঠন গুলি আগেই পাশে দাঁড়িয়েছিল। এবার সরাসরি গ্রামে এসে অধ্যাপকদের পাশে দাঁড়ানোয় আশার আলো দেখছেন বিজ্জু সরকারের পরিবার। এদিন ঐ বিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বিজ্জু সরকার ও তার বাবা ভূবন সরকারকে পাশে বসিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'ভবিষ্যতের জন্য কোন চিন্তা নেই। আমরা সমস্ত অধ্যাপকরা তোমার পাশে রয়েছি। এবং পড়াশুনার সমস্ত খরচ তারাই বহন করবেন' একই সঙ্গে 'বিতর্কিত' ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তুমি কোন অন্যায় করোনি। যিনি অন্যায়ের কথা বলছেন দোষটা তার।  ঐ ছাত্রের বাবা ভূবন কর্মকার বলেন, বিশ্বভারতীর অধ্যাপকরা তাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তারা ছেলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই অবস্থাতে তিনি কোন বিতর্কে যেতে চাননা জানিয়ে বলেন, ছেলে যেমন পড়াশুনা করে মানুষ হতে পারে সেই ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন রেখেছেন।

              ছবি - দেবব্রত মন্ডল 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।